মহানগর ডেস্কঃ বাঁকুড়ার এই গ্রামে গেলে অবাক হয়ে যাবেন আপনিও। পাহাড় কোলের এই প্রত্যন্ত গ্রাম যেন ছবির মতো সুন্দর। বাড়ির দেওয়ালে আঁকা নানা রকমের ছবি। হস্তশিল্পের বিচারে বাঁকুড়ার এই গ্রাম যেন টেক্কা দেয় দেশবিদেশের শিল্পকলাকেও। কোথায় রয়েছে এই গ্রাম? জেনে নিন ঠিকানা।
এবছর জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। তা বলে কি বাইরে বেরোবেন না! মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে বাড়িতে বসে বোর না হয়ে বেরিয়ে পড়ুন। কোথায় যাবেন বুঝতে পারছেন না! সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ব্যালেন্স রেখে আপনার এই শীতের পারফেক্ট ডেস্টিনেশন এর খোঁজ দিলাম আমরা ।
শীতের সাথে পাহাড়ের একটা আলাদায় টান আছে। তাই এই শীতে আপনাকেও যদি পাহাড় টানে তাহলে যেতেই পারেন শুশুনিয়া পাহাড়ের কোল জুড়ে থাকা ভরতপুর গ্রামে । নানান রঙে সাজানো এই ছবির মত গ্রামে গেলে আপনার মন ও চোখ যে একদম জুড়িয়ে যাবে টা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।
মনোরম প্রকৃতির মাঝে অবস্থান করছে এই গ্রাম । বাঁকুড়ার ঐতিহ্যবাহী পটচিত্র শিল্পীদের গ্রাম ভরতপুর। এই গ্রামে ঢুকলেই আপনার চোখ আটকে যাবে এই গ্রামের বাড়ির দেওয়াল গুলোতে । গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির দেওয়ালে দেখা যাবে অপূর্ব পটচিত্র। প্রতিটি পটচিত্র আলাদা গল্প বলে। কখনও পল্লী বাংলার ছবি আবার কখনও মহাকাব্যের কথা। আঁকা হয় তাঁদের জীবনগাঁথা বা ঐতিহাসিক ঘটনা বা পর্ব।জৈব রং ব্যবহার করে আঁকা হয় পটচিত্র। ফল এবং ফুলের নির্যাস দিয়ে তৈরি হয় রং। এই পটচিত্রই একমাত্র জীবিকা এই গ্রামের। কাজে হাত লাগান মহিলারাও। এমনকি ভরতপুরের বাচ্চারাও ভবিষ্যৎ চিন্তা করতে শিখছে এই পটশিল্প নিয়ে । ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে ভরতপুরের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি। রাজ্য সরকারের তরফে পর্যটকদের জন্য হস্তশিল্পের অন্যতম ফেভারিট ডেস্টিশনেন হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ভরতপুরকে। শুশুনিয়া পাহাড়ের একদম পাদদেশে অবস্থিত ভরতপুর। তাই শীতের আমেজ ঘুরে দেখতেই পারেন এই শিল্প গ্রাম। হয়তো এই গ্রামের টানে কয়েকদিন আটকে যেতেই পারেন লালমাটির এই দেশে।