মহানগর ডেস্ক : শীতকাল মানেই শাক সবজির মরশুম। এইসময় গ্রাম বাংলায় গেলে পাওয়া যায় ক্ষেতের টাটকা বাহারি সবজি। তবে শুধু গ্রাম না, শীতের সকালে থলি হাতে বাজার গেলে তা ভর্তি করে আনতে মন চাইবেই। কমলা গাজর, বিট, কড়াই শুটি থেকে শুরু করে রকমারি শাক। তাইতো শীত এত প্রিয় আম বাঙালির। তবে মেপে খেতে হবে। প্রতিটি সবজির গুনাগুন জেনে খাচ্ছেন তো!
শাক-সবজি হল শরীরের পুষ্টির যোগানের এক অন্যতম উপাদান। শীতে বিভিন্ন শাক সবজির সাথে অন্যতম হল পালং। অর্থাৎ এই শাক হল পুষ্টির পাওয়ার হাউস। পালং শাক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু জানেন অতিরিক্ত পালং শাক
খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা অপকারি। দেখে নিন!
অতিরিক্ত মাত্রাই যেকোনো খাবারই শরীরে ডেকে আনতে পারে বিপদ! স্বাস্থ্যের জন্য যা বিষ সমান। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা বলছেন পালং শাক বেশি পরিমানে খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। পালং শাক একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য। অতিরিক্ত পুষ্টিগুণে ভরপুর এই পদ চোখ এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। রক্তচাপ বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরের ভাঙাহাড় মজবুত করতেও এর জুড়ি মেলা ভার। শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।তাই যত খুশি খেতে পারেন পালংশাকের বিভিন্ন পদ। তবে দিনে একবার এর বেশি খাওয়া ঠিক হবে না। ডাক্তার বাবুরা বলছেন কোনো শাক দিয়ে বানানো পদ দুপুরের দিকে খাওয়া উচিত। কারণ সূর্য ডোবার পর শাক খাওয়া উচিত নয়। স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এই সবুজ পাতা শরীরের বহুমুখী প্রভাব বিস্তার করে। তবে রান্নার আগে বেশকিছু সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
এক্ষেত্রে কি কি করণীয়!
১. পালং শাক কাঁচা এবং রান্না উভয় প্রকারেই খেতে পারেন।
২.তবে রান্না করার আগে ভালো করে পরিষ্কার করুন।
৩. কুসুম গরম জলে কিছুক্ষন রাখুন।
৪.স্মুদি করেও খেতে পারেন।
৫.পালং শাকের সাথে ডিম এবং মুসুর ডাল যোগ করুন। এছাড়া অন্যান্য সবজি দিয়েও তৈরি করতে পারেন। দ্বিগুন পুষ্টি পাবেন।
এবার দেখে নিন অতিরিক্ত পরিমানে পালং শাক খেলে কি হবে!
১. এই সবুজ শাকে ক্যালোরি থাকে খুবই নগণ্য।
২.ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ, সি, আয়রন এর পরিমাণ পালং শাকে বেশি থাকে।
৩. ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৪. শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, ওজন কমায়
৫. রক্তে যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে চান
৬. পালং শাকের একটি কম গ্লাইসেমিক সূচক আছে, তাই এটি আপনাকে ডায়াবেটিস পরিচালনা করতেও সাহায্য করতে পারে।
মেডিসিননেটডটকমের তথ্য বলছে, পালংশাক বেশি খেলে হতে পারে ডায়ারিয়ার মতো অসুখ।মানুষের শরীরে পালং শাকের ফাইবার হজম হতে সময় নেয়। সেক্ষেত্রে গ্যাস, বদহজম থেকে শুরু করে নানা গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। তাই এই পদ বাড়িতে বানানোর আগে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন। এছাড়াও দিনে একাধিকবার পালং শাক খেলে তল পেটে ব্যাথা, ফোলা ভাব পেটের মধ্যে,এমনকি শরীরে বিষক্রিয়াও দেখা যেতে পারে। যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তারা খাবেন না এই সবুজ শাক। কারন এই সবজিতে হিস্টামিন থাকে। কিডনির সমস্যায় ভুগলে এখনই বন্ধ করুন এই পালং শাক খাওয়া। এই শাকে পিউরিন নামক এক ধরনের যৌগ থাকে। তাই যারা ইতিমধ্যে জয়েন্টের ব্যাথা এবং ফোলা রোগে ভুগছেন তারা এড়িয়ে চলুন। পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি ডায়াবেটিক পেসেন্ট হন তাহলে ওষুধের সাথে বিষক্রিয়া ঘটিয়ে এটি আপনার রক্তকে আরো পাতলা করে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে কিডনকতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি আরও বেরে যায়। তাই এখন থেকে সতর্কতা অবলম্বন করুন। এই শীতে ব্রেড এর আইটেম এর সাথে পালং পনির রাখার আগে ভেবে নিন!
Disclaimer: প্রতিবেদনটি ইন্টারনেট থেকে পাওয়া সাধারন কিছু তথ্যের ওপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। সুস্থতা নির্ভর করে প্রতিদিনের স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্যতালিকার ওপর। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন।