নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে সরাসরি হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি। বিজেপি নেতা ও মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাওবাদী কার্যকলাপ ও তার সাথে ‘ আজাদি ‘ স্লোগানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। তার সাথে NIA তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুর পর বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আর সেখানেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তাকে উদ্দেশ্য করে মাওবাদী স্লোগান তোলেন সেখানকার একাংশ আন্দোলনকারী। এছাড়াও তার গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগও তিনি করেন। আর এই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের মধ্যেই মাওবাদী কার্যকলাপ চলে। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দিন মামলাটি শোনার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: “মিসাইল টু মিউজিক”, সর্বস্তরের মহিলাদের প্রশংসায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
গত বৃহস্পতিবার যাদবপুর এইটবি বাস স্ট্যান্ডের কাছে ধর্নায় বসেছিল ভারতীয় যুব মোর্চা আর সেখানেই গিয়ে পৌঁছান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে পৌঁছাতে বক্তব্য রাখার সময় নকশাল পন্থী ছাত্রসংগঠনের কিছু সমর্থক তাকে উদ্দেশ্য করে কালো পতকা দেখায়। আর এই নিয়েই চরম উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে। এমনকি বিজেপি নেতার গাড়িতে উদ্দেশ্য করে ঢিল মারার অভিযোগ ওঠে। আর এই ঘটনাকে উদ্দেশ্য করেই শুভেন্দু অধিকারী যাদবপুর থানায় আরএসএফের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩০৭, ৩৪১, ৩৪২, ৫০৬, ১২০বি , ৩৪ এবং ইউপিএ প্রয়োগ করার বিষয়ে যাদবপুর থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, যাদবপুরের এ ঘটনার বিরুদ্ধে আগেই এনআইএ তদন্তের দাবি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, এই কাণ্ডে ধৃত একমাত্র জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা, তাকে এই রাজ্যের শাসক দল ওবিসি এ কোটায় ভর্তি সুযোগ দিয়েছে, যেটা কোনো নিয়মের বাইরে, জম্মু থেকে এভাবে ভর্তি হতে পারেনা কোন শিক্ষার্থী। তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।