মহানগর ডেস্ক: পাচার হওয়ার আগেই ফ্লপ প্ল্যান । ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পৌছাতেই দুই পাচারকারী ধরা পড়ল দু’টি আলাদা ঘটনায় । ২৮টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্রের খবর প্রায় ২ কোটি টাকার সোনা পাচারের চেষ্টা চলছিল।
বিএসএফ ও পুলিশ সূত্রে খবর , মঙ্গলবার রাতে এক মহিলাকে হাতে ব্যাগ নিয়ে গাইঘাটার আংরাইল সীমান্তে আসতে দেখা যায়, তা দেখে সন্দেহ বাঁধতেই ৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা তাঁকে আটকান, সেই মহিলাকে বলেন দাঁড়াতে । কিন্তু, ওই মহিলা পালানোর চেষ্টা করেন, আর তখনই বিএসএফের মহিলা রক্ষীরা তাঁকে ধরে ফেলেন। ধৃত মহিলার নাম যশোদা শিকদার। তাঁর বাড়ি আংরাইলের ঘোষপাড়ায়। এই মহিলার কাছ থেক তল্লাশি চালিয়ে প্রথমে ১২টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয় তাঁর কাছ থেকে । জেরায় যশোদা আরও জানান যে, তাঁর বাড়ির বাগানে আরও ১০টি সোনার বিস্কুট লুকিয়ে রাখা আছে । জওয়ানরা তা উদ্ধার করতে মহিলাকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে জান, তল্লাশি চালিয়ে ওই ১০টি সোনার বিস্কুটগুলিও উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে যে, কয়েক দিন আগে এক বাংলাদেশি একটি প্যাকেটে করে যশোদাকে ওই বিস্কুট রাখতে দিয়েছিলেন ।
আবার অন্যদিকে আরও একটি ঘটনা, এক ব্যক্তিকে গাবর্ডা এলাকা থেকে ছ’টি সোনার বিস্কুট-সহ আটক করে বিএসএফের ১০৭ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা। এই ব্যক্তির নাম সুজিত রায়, জানা যাচ্ছে তাঁর বাড়ি স্বরূপনগর থানার নাইপাড়া এলাকায়। এই পাচার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আর্য, বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এ কে বলেন যে, ‘গরিব দিন দুঃখী মানুষকে টাকার লোভ দেখিয়ে চোরাকারবারির সাথে যারা যুক্ত আছে তারা লোভ দেখিয়ে সীমান্তের পারে পাচার করার মতো কাজের ফাঁদে ফেলে অপরাধ করায়। এর পর বলেন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সোনা পাচার সংক্রান্ত তথ্য বিএসএফকে যদি কেউ জানায় ওই ব্যক্তির পরিচয়ও গোপন রাখা হবে এর পাশাপাশি ওই ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হবে ।