মহানগর ডেস্কঃ জন্ম বাংলার মাটিতে হলেও বর্তমানে দেশ বিদেশে তাঁকে সকলেই এক নামেই চেনেন। বাঙালি মা এবং পাঞ্জাব বাবার সন্তান অরিজিৎ বড়ো হয়েছেন মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে। পড়াশনাও করেছেন জিয়াগঞ্জের বিজয় সিং স্কুলে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন অরিজিতের মা অদিতিদেবী। সেরে উঠলেওশেষ রক্ষা হয় না মাত্র ৫২ বছর বয়সেই ব্রেন স্ট্রোকে মারা যায় তিনি। বর্তমানে তাঁর জিয়াগঞ্জের বাড়িতে থাকেন অরিজিতের বাবা কক্কর সিং ও বোন।
মুম্বাইতে রয়েছে অরিজিতের বিলাসবহুল আবাসন। তিনি জন্মসূত্রে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের ছেলে। নিজের এলাকার উন্নয়নের জন্য় স্বউদ্যোগে অনেক কাজ করে থাকেন অরিজিৎ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে হাসপাতাল স্থানীয় খেলার মাঠ সব কিছু নির্মাণের নেপথ্য রয়েছে জিয়াগঞ্জের একমাত্র নায়ক অরিজিৎ। তাঁর এই উদ্যোগ গুলিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি নিজেই।
জিয়াগঞ্জে নিজের জন্মস্থানে স্কুল তৈরি করবেন অরিজিৎ একিসঙ্গে তৈরি করবেন হাসপাতালও। গতকাল মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে একটি প্রশাসনিক সভায় তেমনই ঘোষণা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই স্কুল-হাসপাতাল নির্মাণের জন্য জমিদানে সাহায্য করবেন মুখ্যমন্ত্রী।এদিন তিনি আরও বলেছেন, “অরিজিৎ অনেক ভাল কাজ করছে। ও জেলার গর্ব। ওকে আমি জমি অ্যাপ্রুভ করে দিয়েছি। ওই জমিতে অরিজিৎ স্কুল করবে, হাসপাতাল করবে। আরও অনেক কিছু তৈরি করবে ও।”
জঙ্গিপুরে অরিজিৎকে স্কুল-হাসপাতাল তৈরি করার জন্য যে জমি দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, সেটি রঘুনাথগঞ্জ থানার আওতাভুক্ত। জনবহুল ওই জায়গার চারপাশে রয়েছে বাজার সহ বড়-বড় রাস্তা। জমির আশপাশে মাঠও রয়েছে বড়-বড়।আর কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে স্কুল নির্মাণের কাজ। সূত্রের খবর, আপাতত দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হবে অরিজিতের নির্মিত এই স্কুলে। এর আগেই জিয়াগঞ্জে নিজের মায়ের নামে একটি সংস্থা করেছিলেন অরিজিৎ। সেই সংস্থাকেই এই জমি দান করা হবে বলে প্রশাসন তরফ থেকে। জানা যাচ্ছে অরিজিৎ তাঁর মায়ের নামেই অথাৎ অদিতি সিংয়ের নামেই ওই স্কুলের নামকরণ করতে চায়।
অরিজিতের বাবা কক্কর সিং ‘হেঁশেল’ নামের একটি ভাতের হোটেল চালান । জিয়াগঞ্জের যে স্কুলে অরিজিৎ পড়াশোনা করতেন এই মুহূর্তে সেই স্কুলেরই পরিচালন সমিতির সভাপতি তিনি।মূলত এলাকার ছোটদের জন্যই প্রাথমিকভাবে কাজ করতে চান অরিজিৎ। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পড়ে-থাকা একটি খেলার মাঠ পুনর্নির্মাণের দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি। বহুকাল ধরেই সংস্কারের অভাবে পড়েছিল মাঠটি। বাচ্চারা খেলতে পারত না সেখানে। অরিজিৎই নিজে উদ্যোগ নিয়ে সেটিকে খেলার যোগ্য করে তুলেছেন। সেই সঙ্গে সেখানে একটি ক্রীড়াকেন্দ্রও তৈরি হয়েছে। সেখানে কিছুদিনের মধ্যেই ক্রিকেট প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর।
Read More: ৬০০ কোটির দুর্নীতিতে গ্রেফতার হেমন্ত সোরেন, যা বললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর