মহানগর ডেস্ক: জি ২০ ঘোষণায় সন্ত্রাসবাদকে এক ইঞ্চিও জমি না-ছাড়ার কথা পরিষ্কারভাবে জানানো হলো। সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করা হয়েছে শনিবার ওই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে।তবে এই ধরনের সম্মেলনে সাধারণত এই ধরনের অবস্থান নেওয়াই হয়।কিন্তু সেই সঙ্গে কোনও দেশ যাতে জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় না-হয়,নতুন সদস্য নিয়োগ করতে না-পারে এবং জঙ্গিরা যাতে সেখানে বসে প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ-সুবিধে না-পায় সেটা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়ানোরও ডাক দেওয়া হয়েছে।
ভারতের অভিযোগ ভারতে নাশকতা-সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানো জঙ্গিরা পাকিস্তানে নিশ্চিন্ত আশ্রয় পাচ্ছে। ভারত এবং ইউএসএর যৌথ উদ্যোগেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অপরদিকে রয়েছে চীনের নির্দেশনা। তবে এই সিদ্ধান্ত উপমহাদেশ পাকিস্তানকে অনেকটাই চাপে রাখবে বলে মনে করছেন সাধারণ জনগণ।
জি-২০ এ দিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে, “সন্ত্রাসের শিকার কাউকে সহায়তা দেওয়া এবং মানবাধিকার রক্ষা পরস্পর-বিরোধী লক্ষ্য নয়— বরং, একটি অন্যটির পরিপূরক এবং একটি অন্যটিকে শক্তিশালী করবে।” পাশাপাশি,লাইট ওয়েপন্স ও স্মল আর্মস -এর পাচার রুখতে বিভিন্ন দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছে জি-২o।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ দিনের অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে জানান, “যে কোনও রকমের সন্ত্রাসবাদই হলো অপরাধ এবং অন্যায়— তাতে যে রকম মতাদর্শ বা প্রেরণাই থাকুক আর তার স্থান-কাল-পাত্র যা-ই হোক না কেন। সন্ত্রাসবাদের পিছনে আর্থিক বল-ভরসা এখন গুরুত্বপূর্ণ।”জি ২০-র সদস্য দেশগুলো অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে ,যে তারা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সকে আরও বেশি করে সহায়তা করবে।