কাশ্মীরের টিউলিপ ফুলের বাগানের নাম এবার ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে! অগস্ট:জাবারওয়ান পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধি মেমোরিয়াল টিউলিপ গার্ডেন। এই মুহূর্তে এটি এশিয়ার বৃহত্তম টিউলিপ গার্ডেন। বাগানটি ১.৫ মিলিয়ন টিউলিপ অ্যারে দিয়ে সজ্জিত। এই বাগানে রয়েছে ৬৮টি স্বতন্ত্র প্রজাতির টিউলিপ গাছ যা সত্যিই নজরকাড়া।
শ্রীনগরের ডাল লেক এবং জ়াবারওয়ান পাহাড়ের কোলে একসঙ্গে প্রায় ১৫ লক্ষ টিউলিপের সমাহার দেখতে পাওয়া যাবে। প্রতি বছর এ সময়ে টিউলিপ ফুলে ভরে ওঠে এই বাগান। তাই এই সময়ে পর্যটকদের ভিড়ও চোখে পড়ে ভালই।
টিউলিপ গার্ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গাওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস (লন্ডন)-এর সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সন্তোষ শুক্লা সম্মানিত করেন র্ডেনস অ্যান্ড পার্কের কমিশনার সেক্রেটারি ফ্লোরিকালচার শেখ ফায়াজ আহমেদকে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস (লন্ডন)-এর সম্পাদক দিলীপ এন পণ্ডিত, ডিরেক্টর ফ্লোরিকালচার কাশ্মীর, অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বাগান কর্মীরা। এই রেকর্ড প্রাপ্তির কথা বলতে গিয়ে কমিশনার সেক্রেটারি, ইন্দিরা গান্ধি মেমোরিয়াল টিউলিপ গার্ডেনের অসাধারণত্বকে স্বীকৃতি জানানোর জন্য ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস (লন্ডন) টিমের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কমিশনার সেক্রেটারি বলেন, “ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তি শুধুমাত্র শ্রীনগরের টিউলিপ গার্ডেনের স্বীকৃতি নয়। বরং মানবতা এবং প্রকৃতির মধ্যে মুগ্ধকর বন্ধনের উদযাপনও”। অসাধারণ সৌন্দর্যের জন্য সুপরিচিত ইন্দিরা গান্ধি মেমোরিয়াল টিউলিপ গার্ডেন। ড্যাফোডিল, হায়াসিন্থস, গোলাপ, রানুনকুলি, মুসকরিয়া, এবং আইরিস ফুলগুলি আইকনিক টিউলিপের পাশাপাশি সৌন্দর্যকে আরও কয়েকগুন বৃদ্ধি করে।