মহানগর ডেস্ক: চিকিৎসার নামে জোর করে চড়া দামে অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম বিক্রি করা (Treatment Fraud In Delhi)। অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে ঘুস। আর এই ঘটনায় কাঠগড়ায় দিল্লির সফদর জং হাসপাতালের নিউরো সার্জারির অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোফেসর ড. মহেশ রাওয়াত। তাঁকে যাঁরা দেখাতে আসতেন,তাঁদের তিনি বলতেন অস্ত্রোপচারের জন্য কনিষ্ক সার্জিকাল থেকে চিকিৎসার সরঞ্জাম কিনতে।
সেখানে অত্যন্ত বেশি দামে সরঞ্জামগুলি বিক্রি করা হতো। যে দাম রীতিমতো আকাশছোঁয়া বটে। আর তাঁর এই কাজে সামিল ছিল তাঁরই খুব ঘনিষ্ঠ অবনীশ প্যাটেল, কনিষ্ক সার্জিকালের মালিক দীপক খাট্টার, মণীশ শর্মা, এবং দীপক সার্জিকালের কর্মী কুলদীপ। তারা সবাই মিলে চিকিৎসা করতে আসা রোগীদের এভাবেই বিশাল দামে সরঞ্জাম বিক্রির চক্র চালাতো। প্রধান অভিযুক্ত ড.রাওয়াত তাঁর কাছে পরামর্শ নিতে আসা রোগীদের কনিষ্ক সার্জিকাল থেকে চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনার ব্যাপারে চাপ দিতেন।
রোগীদেরও ওই সার্জিকাল থেকে চড়া দামে সরঞ্জামগুলি বিক্রি করা হতো। তা থেকে মোটা কমিশন নিতেন তিনি। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে ড.রাওয়াতের পরামর্শমতো অবনীশ প্যাটেল রোগীদের অ্যাটেনডেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলতো তাঁরা ড. রাওয়াতের অ্যাপয়েনমেন্ট পেতে গেলে বা তাড়াতাড়ি তারিখ পেতে গেলে কিছু টাকা ঘুস দিতে হবে।
অবনীশ রোগীদের আত্মীয়দের নিয়ে তা মণীশ ও দীপক খাট্টারের কর্মীকে তা দিতো অথবা ব্যাঙ্কে ট্রান্সফার করে দিতো। তদন্তে সিবিআই জানতে পারে সম্প্রতি তারা তিনজন রোগীর আত্মীয়র কাছ থেকে ১৫ হাজার,৩০ হাজার ও ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে। ওই টাকা বেরিলির গণেশ চন্দ্র নামে এক ব্যক্তির বিভিন্ন সংস্থায় ট্রান্সফার করা হতো।
পরে ওই টাকা ড. রাওয়াতের কাছে চলে যেতো। মধ্যস্থতাকারী অবনীশ এক লক্ষ টাকা ড. রাওয়াতের কেরল বেড়ানোর জন্য তাঁর অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন। একইসঙ্গে তাঁর স্ত্রী খুশবু রাওয়াতের শাড়ি কেনার জন্য ১৯ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় সফদরজং হাসপাতাল ও উত্তরপ্রদেশের কয়েকটি জায়গায় হানা দিয়ে ড.রাওয়াত, অবনীশ প্যাটেল,মণীশ শর্মা.দীপক খাট্টার ও কুলদীপকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে।